মরীচিকা

           ওই-যে তোমার মানস-প্রজাপতি

ঘরছাড়া সব ভাবনা যত, অলস দিনে কোথা ওদের গতি।

             দখিন হাওয়ার সাড়া পেয়ে

চঞ্চলতার পতঙ্গদল ভিতর থেকে বাইরে আসে ধেয়ে।

                   চেলাঞ্চলে উতল হল তারা,

          চক্ষে মেলে চপল পাখা আকাশে পথহারা।

             বকুলশাখায় পাখির হঠাৎ ডাকে

চমকে-যাওয়া চরণ ঘিরে ঘুরে বেড়ায় শাড়ির ঘূর্ণিপাকে।

                   কাটায় ব্যর্থ বেলা

          অঙ্গে অঙ্গে অস্থিরতার চকিত এই খেলা।

       মনে তোমার ফুল-ফোটানো মায়া

   অস্ফুট কোন্‌ পূর্বরাগের রক্তরঙিন ছায়া।

             ঘিরল তারা তোমায় চারি পাশে

                     ইঙ্গিতে আভাসে

               ক্ষণে ক্ষণে চমকে ঝলকে।

                     তোমার অলকে

দোলা দিয়ে বিনা ভাষায় আলাপ করে কানে কানে,

               নাই কোনো যার মানে।

           মরীচিকার ফুলের সাথে

মরীচিকার প্রজাপতির মিলন ঘটে ফাল্গুনপ্রভাতে।

           আজি তোমার যৌবনেরে ঘেরি

   যুগলছায়ার স্বপনখেলা তোমার মধ্যে হেরি।