সংযোজন
বাণী

পক্ষে বহিয়া অসীম কালের বার্তা

যুগে যুগে চলে অনাদি জ্যোতির যাত্রা

           কালের রাত্রি ভেদি

      অব্যক্তের কুজ্ঝটিজাল ছেদি

পথে পথে রচি আলিম্পনের লেখা।

পাখার কাঁপনে গগনে গগনে

       উজ্জ্বলি উঠে দিক্‌প্রাঙ্গণে

             অগ্নিচক্ররেখা ।

অস্তিত্বের গহনতত্ত্ব ছিল মূক বাণীহীন —

                অবশেষে একদিন

         যুগান্তরের প্রদোষ - আঁধারে

                 শূন্যপাথারে

মানবাত্মার প্রকাশ উঠিল ফুটি।

                 মহাদুঃখের মহানন্দের

         সংঘাত লাগি চিরদ্বন্দ্বের

চিৎপদ্মের আবরণ গেল টুটি।

                  শতদলে দিল দেখা

 অসীমের পানে মেলিয়া নয়ন

         দাঁড়ায়ে রয়েছে একা

                  প্রথম পরম বাণী

                        বীণা হাতে বীণাপাণি।


প্রত্যুত্তর

বেলকুঁড়ি - গাঁথা মালা

               দিয়েছিনু হাতে,

          সে মালা কি ফুটেছিল রাতে?

               দিনান্তের ম্লান মৌনখানি