সম্ভাষণ

           রোজই ডাকি তোমার নাম ধরে,

                     বলি ‘চারু'।

            হঠাৎ ইচ্ছা হল আর - কিছু বলি,

                               যাকে বলে সম্ভাষণ,

                  যেমন বলত সত্যযুগের ভালোবাসায়।

                     সব চেয়ে সহজ ডাক— প্রিয়তমে।

                  সেটা আবৃত্তি করেছি মনে মনে,

         তার উত্তরে মনে - মনেই শুনেছি তোমার উচ্চহাসি।

                 বুঝেছি, মন্দমধুর হাসি এ যুগের নয় ;

                        এ যে নয় অবন্তী, নয় উজ্জয়িনী।

         আটপহুরে নামটাতে দোষ কী হল

            এই তোমার প্রশ্ন।

                 বলি তবে।

                     কাজ ছিল না বেশি,

                 সকাল সকাল ফিরেছি বাসায়।

         হাতে বিকেলের খবরের কাগজ,

                 বসেছি বারান্দায়, রেলিঙে পা দুটো তোলা।

                     হঠাৎ চোখে পড়ল পাশের ঘরে

         তোমার বৈকালিকী সাজের ধারা।

 

        বাঁধছিলে চুল আয়নার সামনে

            বেণী পাকিয়ে পাকিয়ে, কাঁটা বিঁধে বিঁধে।

         এমন মন দিয়ে দেখি নি তোমাকে অনেক দিন ;

              দেখি নি এমন বাঁকা করে মাথা - হেলানো

                     চুল - বাঁধার কারিগরিতে,

                 এমন দুই হাতের মিতালি

                     চুড়িবালার ঠুনঠুনির তালে।

                 শেষে ওই ধানিরঙের আঁচলখানিতে

                      কোথাও কিছু ঢিল দিলে,

                        আঁট করলে কোথাও বা,