পসারিনী

      পসারিনী, ওগো পসারিনী,

কেটেছে সকালবেলা হাটে হাটে লয়ে বিকিকিনি।

        ঘরে ফিরিবার খনে

        কী জানি কী হল মনে,

                বসিলি গাছের ছায়াতলে —

        লাভের জমানো কড়ি

        ডালায় রহিল পড়ি,

                ভাবনা কোথায় ধেয়ে চলে।

 

 

      এই মাঠ, এই রাঙা ধূলি,

অঘ্রানের-রৌদ্র-লাগা চিক্কণ কাঁঠালপাতাগুলি

        শীতবাতাসের শ্বাসে

        এই শিহরন ঘাসে —

                কী কথা কহিল তোর কানে।

        বহুদূর নদীজলে

        আলোকের রেখা ঝলে,

                ধ্যানে তোর কোন্‌ মন্ত্র আনে।

 

 

      সৃষ্টির প্রথম স্মৃতি হতে

সহসা আদিম স্পন্দ সঞ্চরিল তোর রক্তস্রোতে।

           তাই এ তরুতে তৃণে

           প্রাণ আপনারে চিনে

                   হেমন্তের মধ্যাহ্নের বেলা —

           মৃত্তিকার খেলাঘরে

           কত যুগযুগান্তরে

                   হিরণে হরিতে তোর খেলা।