পত্রপুট

                 প্রশ্ন করে,” কোনো জাত নেই বুঝি তোমার?”

                         আমি বলি, “ না। ”

 

                         এমন করে দিন গেল ;

                           আজ আপন মনে ভাবি,

                             “ কে আমার দেবতা,

                             কার করেছি পূজা। ”

 

শুনেছি যাঁর নাম মুখে মুখে,

  পড়েছি যাঁর কথা নানা ভাষায় নানা শাস্ত্রে,

   কল্পনা করেছি তাঁকেই বুঝি মানি।

    তিনিই আমার বরণীয় প্রমাণ করব বলে

       পূজার প্রয়াস করেছি নিরন্তর।

    আজ দেখেছি প্রমাণ হয় নি আমার জীবনে।

           কেননা, আমি ব্রাত্য, আমি মন্ত্রহীন।

    মন্দিরের রুদ্ধ দ্বারে এসে আমার পূজা

            বেরিয়ে চলে গেল দিগন্তের দিকে —

            সকল বেড়ার বাইরে,

            নক্ষত্রখচিত আকাশতলে,

                  পুষ্পখচিত বনস্থলীতে,

        দোসর-জনার মিলন-বিরহের

                  বেদনা-বন্ধুর পথে।

 

বালক ছিলেম যখন

           পৃথিবীর প্রথম জন্মদিনের আদি মন্ত্রটি

                 পেয়েছি আপন পুলককম্পিত অন্তরে,

                                  আলোর মন্ত্র।

                পেয়েছি নারকেল-শাখার ঝালর ঝোলা

                             আমার বাগানটিতে,

                     ভেঙে-পড়া শ্যাওলা-ধরা পাঁচিলের উপর

                                    একলা ব ' সে।

                         প্রথম প্রাণের বহ্নি-উৎস থেকে