বীথিকা

                              মধ্যাহ্নবাতাসে

               শুষ্ক পাতা ঘুরাইয়া ধূলির আবর্ত ছুটে আসে—

                   শাখা তার অনায়াসে দেয় নাড়া,

               পাতায় পাতায় তার কৌতুকের পড়ে সাড়া।

                   তবু সে অম্লান শুচি, নির্মল নিশ্বাসে

                              চৈত্রের আকাশে

                   বাতাস পবিত্র করে সুগন্ধবীজনে।

             অসংকোচ ছায়া তার প্রসারিত সর্বসাধারণে।

                        সহজে নির্মল সে যে

                   দ্বিধাহীন জীবনের তেজে।

 

                             আমি সাধারণ।

                        তরুর মতন আমি, নদীর মতন।

                            মাটির বুকের কাছে থাকি ;

                         আলোরে ললাটে লই ডাকি

                             যে আলোক উচ্চনীচ ইতরের—

                                  বাহিরের ভিতরের।

                   সমস্ত পৃথিবী তুমি অবজ্ঞায় করেছ অশুচি,

                   গরবিনী, তাই সেই শক্তি গেছে ঘুচি

          আপনার অন্তরে রহিতে অমলিনা—

                   হায়, তুমি, নিখিলের আশীর্বাদহীনা।