ছেলেবেলাকার আহা, ঘুমঘোরে দেখেছিনু

ছেলেবেলাকার আহা, ঘুমঘোরে দেখেছিনু

       মূরতি দেবতাসম অপরূপ স্বজনি,

ভেবেছিনু মনে মনে, প্রণয়ের চন্দ্রলোকে

       খেলিব দুজনে মিলি দিবস ও রজনী,

আজ সখি একেবারে, ভেঙেছে সে ঘুমঘোর

       ভেঙেছে সাধের ভুল মাখানো যা মরমে,

দেবতা ভাবিনু যারে, তার কলঙ্কের কথা

       শুনিয়া মলিন মুখ ঢাকিয়াছি শরমে।

তাই ভাবিয়াছি সখি, এই হৃদয়ের পটে

       এঁকেছি যে ছবিখানি অতিশয় যতনে,

অশ্রুজলে অশ্রুজলে, মুছিয়া ফেলিব তাহা,

       আর না আনিব মনে, এই পোড়া জনমে। —

কিন্তু হা — বৃথা এ আশা, মরমের মরমে যা।

       আঁকিয়াছি সযতনে শোনিতের আখরে,

এ জনমে তাহা আর, মুছিবে না, মুছিবে না,

       আমরণ রবে তাহা হৃদয়ের ভিতরে!

আমরণ কেঁদে কেঁদে, কাটিয়া যাইবে দিন,

       নীরব আগুনে মন পুড়ে হবে ছাই লো!

মনের এ কথাগুলি গোপনে লুকায়ে রেখে

       কতদিন বেঁচে রব ভাবিতেছি তাই লো!