কবিতা

কোথা বা গাছের তলে বাঁধা আছে গাভী

অযত্নে চিবায় কভু গাছের পল্লব

কভু বা দেখিছে চাহি বাৎসল্য-নয়নে

ক্রীড়াশীল কুটিরের শিশুদের দিকে।

কুটিরের বধূগন উঠিয়া প্রভাতে

আপনার আপনার কাজে আছে রত।

সে ক্ষুদ্র কুটির আর ভাঙাচোরা পথ,

দিগন্তের পদতলে বিশাল প্রান্তর

... যৌবনময় হৃদয়ে যাহার

... তৃণফুল শুকায় নিভৃতে

ছবি দেখে কল্পনার স্বপ্নের মতন

তা হইলে মধুময় কবিতার মতো

কেমন আরামে যেত জীবন কাটিয়া।

 

এমন হৃদয়হীন উপেক্ষার মাঝে

একজন ছিল মোর প্রেমের প্রতিমা,

অমিয়া, সে বালিকারে কত ভালোবাসি।

দিগন্তের দূর প্রান্তে ঘুমন্ত চন্দ্রমা,

ধবল জলদ জালে, আধো আধো ঢাকা —

বালিকা তেমনি আহা মধুর কোমল।

সেই বালা দয়া করি হৃদয় আমার

রেখেছিল জুড়াইয়া স্নেহের ছায়ায়।

অনন্ত-প্রণয়ময়ী রমণী তোমরা

পৃথিবীর মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী।

তোমাদের স্নেহধারা যদি না বর্ষিত

হৃদয় হইত তবে মরুভূমিসম

স্নেহ দয়া প্রেম ভক্তি যাইত শুকায়ে।

তোমরাই পৃথিবীর সংগীত, কবিতা,

স্বর্গ, সে তো তোমাদের হৃদয়ে বিরাজে

সে হৃদয়ে স্নেহছায়ে দিলে গো আশ্রয়

পাষাণ-হৃদয় সেও যায় গো গলিয়া!

কেহই আশ্রয় যবে ছিল না অমিয়া!