কবিতা

দিব না তোমায় ছেড়ে

ভিখারি ভবের সরবস ধন

আমরা লইব কেড়ে।

বলো তো স্বজনী, এ কেমন ধারা

এয়েছ বরষ-পরে,

কেমনে নিদিয়া রহিবে কেবল

তিনটি দিনের তরে। '

  কেহ বা কহিল, ‘ বলো দেখি, সখী,

মনে পড়ে ছেলেবেলা?

সকলে মিলিয়া এ গিরিভবনে

কত-না করেছি খেলা!

সেই মনে পড়ে যেদিন স্বজনী

গেলে তপোবন-মাঝে —

নয়নের জলে আমরা সকলে

সাজানু তাপসী-সাজে।

কোমল শরীরে বাকল পরিয়া

এলায়ে নিবিড় কেশ

লভিবারে পতি মনের মতন

কত-না সহিলে ক্লেশ।

ছেলেবেলাকার সখীদের সব

এখনো তো মনে আছে,

ভয় হয় বড়ো পতির সোহাগে

ভুলিস তাদের পাছে! '

কত কী কহিয়া হরষে বিষাদে

       চলিল আলয়-মুখে,

কাঁদিয়া বালিকা পড়িল ঝাঁপায়ে

       আকুল মায়ের বুকে।

হাসিয়া কাঁদিয়া কহিল রানী,

       চুমিয়া উমার অধরখানি,

‘ আয় মা জননি আয় মা কোলে,

       আজ বরষের পরে।

দুখিনী মাতার নয়নের জল