কবিতা

তাইতে আজিকে হরষের ধ্বনি

       উঠিয়াছে ঘরে ঘরে।

অধীর হৃদয়ে রানী আসে যায়,

কভু বা প্রাসাদশিখরে দাঁড়ায়,

কভু বসে ওঠে, বাহিরেতে ছোটে

       এখনো উমা মা এলনা কেন?

হাসি হাসি মুখে পুরবাসীগণে

অধীরে হাসিয়া ভূধরভবনে,

‘ কই উমা কই ' বলে ‘ উমা কই ',

       তিলেক বেয়াজ সহে না যেন!

বরষের পরে আসিবেন উমা

       রানীর নয়নতারা,

ছেলেবেলাকার সহচরী যত

       হরষে পাগল-পারা।

ভাবিছে সকলে আজিকে উমায়

       দেখিবে নয়ন ভ ' রে,

আজিকে আবার সাজাব তাহায়

       বালিকা উমাটি ক ' রে।

তেমনি মৃণালবলয়-যুগলে,

তেমনি চিকন-চিকন বাকলে,

তেমনি করিয়া পরাব গলায়

       বনফুল তুলি গাঁথিয়া মালা।

তেমনি করিয়া পরায়ে বেশ

তেমনি করিয়া এলায়ে কেশ,

জননীর কাছে বলিব গিয়ে

       ‘ এই নে মা তোর তাপসী বালা '।

লাজ-হাসি-মাখা মেয়ের মুখ

হেরি উথলিবে মায়ের সুখ,

হরষে জননী নয়নের জলে

       চুমিবে উমার সে মুখখানি।

হরষে ভূধর অধীর-পারা

হরষে ছুটিবে তটিনীধারা,