বীথিকা

আরেকটা কথা বলে রাখি এইখানে,

          কাব্যে সে কথা হবে না মানানসই,

সুর দিয়ে সেটা গাহিব না কোনো গানে—

          তুচ্ছ শোনাবে, তবু সে তুচ্ছ কই।

একালে চলে না সোনার প্রদীপ আনা,

সোনার বীণাও নহে আয়ত্তগত।

          বেতের ডালায় রেশমি - রুমাল - টানা

                   অরুণবরন আম এনো গোটাকত।

গদ্য জাতীয় ভোজ্যও কিছু দিয়ো,

          পদ্যে তাদের মিল খুঁজে পাওয়া দায়।

তা হোক, তবুও লেখকের তারা প্রিয় ;

          জেনো, বাসনার সেরা বাসা রসনায়।

ওই দেখো, ওটা আধুনিকতার ভূত

          মুখেতে জোগায় স্থূলতার জয়ভাষা ;

জানি, অমরার পথহারা কোনো দূত

          জঠরগুহায় নাহি করে যাওয়া - আসা।

 

  তথাপি পষ্ট বলিতে নাহি তো দোষ

               যে কথা কবির গভীর মনের কথা—

উদরবিভাগে দৈহিক পরিতোষ

          সঙ্গী জোটায় মানসিক মধুরতা।

শোভন হাতের সন্দেশ, পানতোয়া,

          মাছমাংসের পোলাও ইত্যাদিও

যবে দেখা দেয় সেবা মাধুর্যে - ছোঁওয়া

          তখন সে হয় কী অনির্বচনীয়!

বুঝি অনুমানে, চোখে কৌতুক ঝলে ;

          ভাবিছ বসিয়া সহাস ওষ্ঠাধরা,

এ সমস্তই কবিতার কৌশলে

          মৃদুসংকেতে মোটা ফরমাশ করা।

আচ্ছা, নাহয় ইঙ্গিত শুনে হেসো ;

          বরদানে, দেবী, নাহয় হইবে বাম ;

খালি হাতে যদি আস তবে তাই এসো,