বীথিকা

          দেরাজের কোণে পড়ে আছে আধুলিটি।

কতদিন হল গিয়েছ, ভাবিব না তা,

          শুধু রচি বসে নিমন্ত্রণের চিঠি।

মনে আসে, তুমি পুব - জানালার ধারে

          পশমের গুটি কোলে নিয়ে আছ বসে ;

উৎসুক চোখে বুঝি আশা কর কারে,

          আলগা আঁচল মাটিতে পড়েছে খসে।

অর্ধেক ছাদে রৌদ্র নেমেছে বেঁকে,

           বাকি অর্ধেক ছায়াখানি দিয়ে ছাওয়া ;

পাঁচিলের গায়ে চীনের টবের থেকে

          চামেলি ফুলের গন্ধ আনিছে হাওয়া।

এ চিঠির নেই জবাব দেবার দায়,

          আপাতত এটা দেরাজে দিলেম রেখে।

পার যদি এসো শব্দবিহীন পায়,

          চোখ টিপে ধোরো হঠাৎ পিছন থেকে।

আকাশে চুলের গন্ধটি দিয়ো পাতি,

          এনো সচকিত কাঁকনের রিনিরিন,

আনিয়ো মধুর স্বপ্নসঘন রাতি,

          আনিয়ো গভীর আলস্যঘন দিন।

তোমাতে আমাতে মিলিত নিবিড় একা—

          স্থির আনন্দ, মৌন মাধুরীধারা,

মুগ্ধ প্রহর ভরিয়া তোমারে দেখা,

          তব করতল মোর করতলে হারা।