২৭

বিশ্বধরণীর এই বিপুল কুলায়

সন্ধ্যা — তারি নীরব নির্দেশে

নিখিল গতির বেগ ধায় তারি পানে।

চৌদিকে ধূসরবর্ণ আবরণ নামে।

মন বলে, ঘরে যাব —

কোথা ঘর নাহি জানে।

দ্বার খোলে সন্ধ্যা নিঃসঙ্গিনী,

সম্মুখে নীরন্ধ্র অন্ধকার।

সকল আলোর অন্তরালে

বিস্মৃতির দূতী

খুলে নেয় এ মর্তের ঋণ-করা সাজসজ্জা যত —

প্রক্ষিপ্ত যা-কিছু তার নিত্যতার মাঝে

ছিন্ন জীর্ণ মলিন অভ্যাস।

আঁধারে অবগাহন-স্নানে

নির্মল করিয়া দেয় নবজন্ম নগ্ন ভূমিকারে।

জীবনের প্রান্তভাগে

অন্তিম রহস্যপথে দেয় মুক্ত করি

সৃষ্টির নূতন রহস্যেরে।

নব জন্মদিন তারে বলি

আঁধারের মন্ত্র পড়ি সন্ধ্যা যারে জাগায় আলোকে।