জন্মদিনে

নিরর্থ খেলায়।

টাট্টু ঘোড়া চড়ি

রথতলা মাঠে গিয়ে দুর্দাম ছুটাত তড়বড়ি,

রক্তে তার মাতিয়ে তুলিতে গতি,

নিজেরে ভাবিত সেনাপতি

পড়ার কেতাবে   যারে দেখে

ছবি মনে নিয়েছিল এঁকে।

যুদ্ধহীন রণক্ষেত্রে   ইতিহাসহীন সেই মাঠে

এমনি সকাল তার কাটে।

জবা নিয়ে গাঁদা নিয়ে নিঙাড়িয়া রস

মিশ্রিত ফুলের রঙে কী লিখিত, সে লেখার যশ

আপন মর্মের মাঝে হয়েছে রঙিন —

বাহিরের করতালিহীন।

সন্ধ্যাবেলা বিশ্বনাথ শিকারীকে ডেকে

তার কাছ থেকে

বাঘশিকারের গল্প নিস্তদ্ধ সে ছাতের উপর,

মনে হ’ত, সংসারের সব চেয়ে আশ্চর্য খবর।

দম্‌ করে মনে মনে ছুটিত বন্দুক,

কাঁপিয়া উঠিত বুক।

চারি দিকে শাখায়িত সুনিবিড় প্রয়োজন যত

তারি মাঝে এ বালক অর্‌কিড-তরুকার মতো

ডোরাকাটা খেয়ালের অদ্ভুত বিকাশে

দোলে শুধু খেলার বাতাসে।

যেন সে রচয়িতার হাতে

পুঁথির প্রথম শূন্য পাতে    

অলংকরণ আঁকা, মাঝে মাঝে অস্পষ্ট কী লেখা,

বাকি সব আঁকাবাঁকা রেখা।

আজ যবে চলিতেছে সাংঘাতিক হিসাবনিকাশ,

দিগ্‌দিগন্তে ক্ষমাহীন অদৃষ্টের দশনবিকাশ,

বিধাতার ছেলেমানুষির

খেলাঘর যত ছিল ভেঙে সব হল চৌচির।

আজ মনে পড়ে সেই দিন আর রাত,