৩০

ধীরে সন্ধ্যা আসে, একে একে গ্রন্থি যত যায় স্খলি

প্রহরের কর্মজাল হতে। দিন দিল জলাঞ্জলি

খুলি পশ্চিমের সিংহদ্বার

সোনার ঐশ্বর্য তার

অন্ধকার আলোকের সাগরসংগমে।

দূর প্রভাতের পানে নত হয়ে নিঃশব্দে প্রণমে।

চক্ষু তার মুদে আসে, এসেছে সময়

গভীর ধানের তলে আপনার বাহ্য পরিচয়

করিতে মগন।

নক্ষত্রের শান্তিক্ষেত্র অসীম গগন

যেথা ঢেকে রেখে দেয় দিনশ্রীর অরূপ সত্তারে,

সেথায় করিতে লাভ সত্য আপনারে

খেয়া দেয় রাত্রি পারাবারে।