১৯

দিদিমণি —

অফুরান সান্ত্বনার খনি।

কোনো ক্লান্তি কোনো ক্লেশ

মুখে চিহ্ন দেয় নাই লেশ।

কোনো ভয় কোনো ঘৃণা কোনো কাজে কিছুমাত্র গ্লানি

সেবার মাধুর্যে ছায়া নাহি দেয় আনি।

এ অখণ্ড   প্রসন্নতা ঘিরে তারে রয়েছে উজ্জ্বলি,

রচিতেছে শান্তির মণ্ডলী ;

ক্ষিপ্র হস্তক্ষেপে

চারি দিকে স্বস্তি দেয় ব্যেপে ;

আশ্বাসের বাণী সুমধুর

অবসাদ করি দেয় দূর।

এ স্নেহমাধুর্যধারা

অক্ষম রোগীরে ঘিরে আপনার রচিছে কিনারা ;

অবিরাম পরশ চিন্তার

বিচিত্র ফসলে যেন উর্বর করিছে দিন তার।

এ মাধুর্য করিতে সার্থক

এতখানি নির্বলের ছিল আবশ্যক।

অবাক হইয়া তারে দেখি,

রোগীর দেহের মাঝে অনন্ত শিশুরে দেখেছে কি।