ভূমিকা

ডুগডুগিটা বাজিয়ে দিয়ে

ধুলোয় আসর সাজিয়ে দিয়ে

            পথের ধারে বসল জাদুকর।

এল উপেন, এল রূপেন,

দেখতে এল নৃপেন, ভূপেন,

            গোঁদলপাড়ার এল মাধু কর।

দাড়িওয়ালা বুড়ো লোকটা,

কিসের-নেশায়-পাওয়া চোখটা,

            চার দিকে তার জুটল অনেক ছেলে।

যা-তা মন্ত্র আউড়ে, শেষে

একটুখানি মুচকে হেসে

            ঘাসের 'পরে চাদর দিল মেলে।

উঠিয়ে নিল কাপড়টা যেই

দেখা দিল ধুলোর মাঝেই

            দুটো বেগুন, একটা চড়ুই-ছানা,

জামের আঁঠি, ছেঁড়া ঘুড়ি,

একটিমাত্র গালার চুড়ি,

            ধুঁইয়ে-ওঠা ধুনুচি একখানা,

টুকরো বাসন চিনেমাটির,

মুড়ো ঝাঁটা খড়কেকাঠির,

            নলছে-ভাঙা হুঁকো, পোড়া কাঠটা —

ঠিকানা নেই আগুপিছুর,

কিছুর সঙ্গে যোগ না কিছুর,

            ক্ষণকালের ভোজবাজির এই ঠাট্টা।