খেলনার মুক্তি

       এক আছে মণিদিদি,

আর আছে তার ঘরে জাপানি পুতুল

              নাম হানাসান।

        পরেছে জাপানি পেশোয়াজ

ফিকে সবুজের 'পরে ফুলকাটা সোনালি রঙের।

        বিলেতের হাট থেকে এল তার বর;

সেকালের রাজপুত্র কোমরেতে তলোয়ার বাঁধা,

        মাথার টুপিতে উঁচু পাখির পালখ—

           কাল হবে অধিবাস, পর্শু হবে বিয়ে।

 

        সন্ধে হল।

    পালঙ্কেতে শুয়ে হানাসান।

           জ্বলে ইলেক্‌ট্রিক বাতি।

     কোথা থেকে এল এক কালো চামচিকে,

           উড়ে উড়ে ফেরে ঘুরে ঘুরে,

               সঙ্গে তার ঘোরে ছায়া।

           হানাসান ডেকে বলে,

    ‘চামচিকে, লক্ষ্মী ভাই, আমাকে উড়িয়ে নিয়ে যাও

           মেঘেদের দেশে।

জন্মেছি খেলনা হয়ে —

        যেখানে খেলার স্বর্গ

            সেইখানে হয় যেন গতি

               ছুটির খেলায়। '

 

মণিদিদি এসে দেখে পালঙ্কে তো নেই হানাসান।

        কোথা গেল! কোথা গেল!

    বটগাছে আঙিনার পারে

           বাসা ক'রে আছে ব্যাঙ্গমা;

        সে বলে, ‘আমি তো জানি,

               চামচিকে ভায়া

        তাকে নিয়ে উড়ে চলে গেছে। '