পুনশ্চ

সুনৃতা শক্ত করে বললে, ‘তুমি তো বলেইছ

        এ বাড়িতে হতে পারবে না আমার বিয়ে,

           আমি যাব অনুদের বাসায়। '

শমিতা বললে, ‘ছি ছি, দিদি, কী বলছ। '

    বাবা বললেন, ‘ওরা যে মানে না আমাদের মত। '

    ‘তবু ওদের মতই যে আমাকে মানতে হবে চিরদিন—'

এই বলে সুনি সেফটিপিন ভরে রাখলে লেফাফায়।

           দৃঢ় ওর কণ্ঠস্বর, কঠিন ওর মুখের ভাব,

                   সংকল্প অবিচলিত।

    বাবা বললেন, ‘অনিলের বাপ জাত মানে,

           সে কি রাজি হবে। '

    সগর্বে বলে উঠল সুনৃতা,

           ‘চেন না তুমি অনিলবাবুকে,

    তাঁর জোর আছে পৌরুষের, তাঁর মত তাঁর নিজের। '

দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বাবা চলে গেলেন ঘর থেকে,

        শমিতা উঠে তাঁকে জড়িয়ে ধরলে—

               বেরিয়ে গেল তাঁর সঙ্গে।       

 

         বাজল দুপুরের ঘণ্টা।

  সকাল থেকে খাওয়া নেই সুনৃতার।

শমিতা একবার এসেছিল ডাকতে—

      ও বললে, খাবে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে।

        মা-মরা মেয়ে, বাপের আদুরে,

           মিনতি করতে আসছিলেন তিনি;

শমিতা পথ আগলিয়ে বললে,

      ‘কক্‌খনো যেতে পারবে না বাবা,

           ও না খায় তো নেই খেল। '

 

জানলা থেকে মুখ বাড়িয়ে

    দেখলে সুনৃতা রাস্তার দিকে,

           এসেছে অনুদের গাড়ি।

তাড়াতাড়ি চুলটা আঁচড়িয়ে