প্রহাসিনী

    আজকে যদি বলি ‘ আমার প্রাণ

জগামালীর মালায় পেল একটা কিছু খাঁটি ',

        তাই নিয়ে কি চলবে ঝগড়াঝাঁটি। ”

নাতনি কহেন, “ ঠাট্টাকরে উড়িয়ে দিচ্ছ কথা,

         আমার মনে সত্যি লাগায় ব্যথা।

    তোমার বয়স চারি দিকের বয়সখানা হতে

        চলে গেছে অনেক দূরের স্রোতে।

    একলা কাটাও ঝাপসা দিবসরাতি,

        নাইকো তোমার আপন দরের সাথি।

    জগামালীর মালাটা তাই আনে

        বর্তমানের অবজ্ঞাভার নীরস অসম্মানে। ”

আমি বললেম, “ দয়াময়ী, ওইটে তোমার ভুল,

        ওই কথাটায় নাইকো কোনো মূল।

           জান তুমি, ওই যে কালো মোষ

আমার হাতে রুটি খেয়ে মেনেছে মোর পোষ,

    মিনি-বেড়াল নয় বলে সে আছে কি তার দোষ।

           জগামালীর প্রাণে

    যে জিনিসটা অবুঝভাবে আমার দিকে টানে

           কী নাম দেব তার,

        একরকমের সেও অভিসার।

কিন্তু সেটা কাব্যকলায় হয় নি বরণীয়,

    সেই কারণেই কণ্ঠে আমার সমাদরণীয় । ”

               নাতনি হেসে বলে,

                “ কাব্যকথার ছলে

পকেট থেকে বেরোয় তোমার ভালো কথার থলি,

    ওটাই আমি অভ্যাসদোষ বলি। ”

আমি বললেম, “ যদি কোনোক্রমে

               জন্মগ্রহের ভ্রমে

ভালো যেটা সেটাই আমার ভালো লাগে দৈবে,

    হয়তো সেটা একালেরও সরস্বতীর সইবে । ”

নাতনি বলে, “ সত্যি বলো দেখি,

    আজকে-দিনের এই ব্যাপারটা কবিতায় লিখবে কি। ”