প্রহাসিনী

    আমাদের ওই জগা মালী, মৃদুস্বরে কই। ”

         নাতনি বলে, “ হায় কী দুরবস্থা,

    বয়স হয়ে গেছে ব ' লেই কণ্ঠ এতই সস্তা।

        যে গলাটায় আমরা গলগ্রহ

    জগামালীর মালা সেথায় কোন্‌ লজ্জায় বহ। ”

        আমি বললেম, “ সত্য কথাই বলি,

    তরুণীদের করুণা সব দিলেম জলাঞ্জলি।

নেশার দিনের পারে এসে আজকে লাগে ভালো,

                   ওই যে কঠিন কালো।

        জগার আঙুল মালা যখন গাঁথে

    বোকা মনের একটা কিছু মেশায় তারই সাথে।

        তারই পরশ আমার দেহ পরশ করে যবে

           রস কিছু তার পাই যে অনুভবে।

        এ-সব কথা বলতে মানি ভয়

    তোমার মতো নব্যজনের পাছে মনে হয় —

               এ বাণী বস্তুত

    কেবলমাত্র উচ্চদরের উপদেশের ছুতো ,

               ডাইডাক্‌টিক্‌ আখ্যা দিয়ে যারে

        নিন্দা করে নতুন অলংকারে।

           গা ছুঁয়ে তোর কই,

          কবিই আমি, উপদেষ্টা নই।

    বলি-পড়া বাকলওয়ালা বিদেশী ওই গাছে

        গন্ধবিহীন মুকুল ধরে আছে

    আঁকাবাঁকা ডালের ডগা ধূসর রঙে ছেয়ে —

যদি বলি ওটাই ভালো মাধবিকার চেয়ে,

    দোহাই তোমার কুরঙ্গনয়নী,

        ব্যঙ্গকুটিল দুর্বাক্য-চয়নী,

           ভেবো না গো, পূর্ণচন্দ্রমুখী,

        হরিজনের প্রপাগ্যাণ্ডা দিচ্ছে বুঝি উঁকি।

এতদিন তো ছন্দে-বাঁধা অনেক কলরবে

           অনেকরকম রঙ-চড়ানো স্তবে

        সুন্দরীদের জুগিয়ে এলেম মান —