১৪

যাবার সময় হল বিহঙ্গের। এখনি কুলায়

রিক্ত হবে। স্তব্ধগীতি ভ্রষ্টনীড় পড়িবে ধুলায়

অরণ্যের আন্দোলনে। শুষ্কপত্র-জীর্ণপুষ্প-সাথে

পথচিহ্নহীন শূন্যে যাবে উড়ে রজনীপ্রভাতে

অস্তসিন্ধুপরপারে। কত কাল এই বসুন্ধরা

আতিথ্য দিয়েছে ; কভু আম্রমুকুলের গন্ধে ভরা

পেয়েছি আহ্বানবাণী ফাল্গুনের দাক্ষিণ্যে মধুর ;

অশোকের মঞ্জরী সে ইঙ্গিতে চেয়েছে মোর সুর,

দিয়েছি তা প্রীতিরসে ভরি ; কখনো বা ঝঞ্ঝাঘাতে

বৈশাখের, কণ্ঠ মোর রুধিয়াছে উত্তপ্ত ধুলাতে,

পক্ষ মোর করেছে অক্ষম — সব নিয়ে ধন্য আমি

প্রাণের সম্মানে। এ পারের ক্লান্ত যাত্রা গেলে থামি,

ক্ষণতরে পশ্চাতে ফিরিয়া মোর নম্র নমস্কারে

বন্দনা করিয়া যাব এ জন্মের অধিদেবতারে।