রঙ্গমঞ্চে একে একে নিবে গেল যবে দীপশিখা,

রিক্ত হল সভাতল, আঁধারের মসী-অবলেপে

স্বপ্নচ্ছবি-মুছে-যাওয়া সুযুপ্তির মতো শান্ত হল

চিত্ত মোর নিঃশব্দের তর্জনীসংকেতে। এতকাল

যে সাজে রচিয়াছিনু আপনার নাট্যপরিচয়

প্রথম উঠিতে যবনিকা, সেই সাজ মুহূর্তেই

হল নিরর্থক। চিহ্নিত করিয়াছিনু আপনারে

নানা চিহ্নে, নানা বর্ণপ্রসাধনে সহস্রের কাছে,

মুছিল তা, আপনাতে আপনার নিগূঢ় পূর্ণতা

আমারে করিল স্তব্ধ, সূর্যাস্তের অন্তিম সৎকারে

দিনান্তের শূন্যতায় ধরার বিচিত্র চিত্রলেখা

যখন প্রচ্ছন্ন হয়, বাধামুক্ত আকাশ যেমন

নির্বাক্‌ বিস্ময়ে স্তব্ধ তারাদীপ্ত আত্মপরিচয়ে।