পলাতকা

কোথা তুমি গেলে যে মোটরে

শহরের গলির কোটরে,

             এক্‌জামিনেশনের তাড়া।

কেতাবের ‘পরে ঝুঁকে থাকো,

বেণীর ডগাও দেখি নাকো,

             দিনে রাতে পাই নে যে সাড়া।

আমার চায়ের সভা শূন্য,

মনটা নিরতিশয় ক্ষুণ্ন,

             সুমুখে নফর বনমালী।

‘সুমুখ' তাহারে বলা মিছে,

মুখ দেখে মন যায় খিঁচে,

             বিনাদোষে দিই তারে গালি।

ভোজন ওজনে অতি কম —

নাই রুটি, নাই আলুদম,

             নাই রুইমাছের কালিয়া।

জঠর ভরাই শুধু দিয়ে

দু-পেয়ালা Chinese tea -য়ে

             আধসের দুগ্ধ ঢালিয়া।

উদাস হৃদয়ে খাই একা

টিনের মাখন দিয়ে সেঁকা

             রুটি-তোস্‌ শুধু খান-তিন।

গোটা-দুই কলা খাই গুনে,

তারই সাথে বিলিতি-বেগুনে

             কিছু পাওয়া যায় ভিটামিন।

মাঝে মাঝে পাই পুলিপিঠে,

পার করে দিই দু চারিটে

             খেজুরগুড়ের সাথে মেখে।

পিরিচে পেড়াকি যবে আনে

আড়চোখে চেয়ে তার পানে

              'পরে খাব' বলে দিই রেখে।