অনাদৃতা লেখনী
সম্পাদকি তাগিদ নিত্য চলছে বাহিরে,
অন্তরেতে লেখার তাগিদ একটু নাহি রে

      মৌন মনের মধ্যে
         গদ্যে কিংবা পদ্যে।
পূর্ব যুগে অশোক গাছে নারীর চরণ লেগে
         ফুল উঠিত জেগে —
কলিযুগে লেখনীরে সম্পাদকের তাড়া
         নিত্যই দেয় নাড়া,
ধাক্কা খেয়ে যে জিনিসটা ফোটে খাতার পাতে
তুলনা কি হয় কভু তার অশোকফুলের সাথে।

 

দিনের পরে দিন কেটে যায়

        গুন্‌গুনিয়ে গেয়ে

শীতের রৌদ্রে মাঠের পানে চেয়ে।

    ফিকে রঙের নীল আকাশে

           আতপ্ত সমীরে

    আমার ভাবের বাষ্প উঠে

            ভেসে বেড়ায় ধীরে,

    মনের কোণে রচে মেঘের স্তূপ,

           নাই কোনো তার রূপ —

মিলিয়ে যায় সে এলোমেলো নানান ভাবনাতে,

    মিলিয়ে যায় সে কুয়োর ধারে

           শজনেগুচ্ছ-সাথে।

 

এদিকে যে লেখনী মোর

        একলা বিরহিণী ;

দৈবে যদি কবি হতেন তিনি,

        বিরহ তাঁর পদ্যে বানিয়ে

নীচের লেখার ছাঁদে আমায়

        দিতেন জানিয়ে —