পুনশ্চ

  চলেছি একসঙ্গে সাত দিন এক জাহাজে।

        অকারণে সকলে বিরক্ত ওর ‘পরে,

           ওকে ব্যঙ্গ করে আঁকে ছবি,

               হাসে তাই নিয়ে পরস্পর।

    ওর নামে অত্যুক্তি বেড়ে চলেছে কেবলই,

ওকে দিনে দিনে মুখে মুখে রচনা করে তুলছে সবাই।

           বিধির রচনায় ফাঁক থাকে,

    থাকে কোথাও কোথাও অস্ফুটতা।

এরা ভরিয়ে তোলে এদের রচনা দৈনিক রাবিশ দিয়ে,

               খাঁটি সত্যের মতো চেহারা হয়,

                   নিজেরা বিশ্বাস করে।

         সবাই ঠিক করে রেখেছে ও দালাল,

    কেউ বা বলে রবারের কুঠির মেজো ম্যানেজার;

               বাজি রাখা চলছে আন্দাজ নিয়ে।

 

 

সবাই ওকে পাশ কাটিয়ে চলে,

           সেটা ওর সয়ে গেছে আগে থাকতেই।

চুরোট খাওয়ার ঘরে জুয়ো খেলে যাত্রীরা,

    ও তাদের এড়িয়ে চলে যায়,

         তারা ওকে গাল দেয় মনে মনে—

           বলে কৃপণ, বলে ছোটোলোক।

 

 

ও মেশে চাটগাঁয়ের খালাসিদের সঙ্গে।

           তারা কয় তাদের ভাষায়,

    ও বলে কী ভাষা কে জানে —

           বোধ করি ওলন্দাজি।

        সকালে রবারের নল নিয়ে তারা ডেক ধোয়,

           ও তাদের মধ্যে গিয়ে লাফালাফি করে,

                   তারা হাসে।

ওদের মধ্যে ছিল এক অল্প বয়সের ছেলে —