২০

রোগদুঃখ রজনীর নীরন্ধ্র আঁধারে

যে আলোকবিন্দুটিরে ক্ষণে ক্ষণে দেখি,

মনে ভাবি, কী তার নির্দেশ।

পথের পথিক যথা জানালার রন্ধ্র দিয়ে

উৎসব-আলোর পায় একটুকু খণ্ডিত আভাস,

সেইমতো যে রশ্মি অন্তরে আসে

সে দেয় জানায়ে —

এই ঘন-আবরণ উঠে গেলে

অবিচ্ছেদে দেখা দিবে

দেশহীন কালহীন আদিজ্যোতি,

শাশ্বত প্রকাশপারাবার,

সূর্য যেথা করে সন্ধ্যাস্নান,

যেথায় নক্ষত্র যত মহাকায় বুদ্‌বুদের মতো।

উঠিতেছে ফুটিতেছে —

সেথায় নিশান্তে যাত্রী আমি

চৈতন্যসাগর-তীর্থপথে।