স্ফুলিঙ্গ
নামুক তাহারই মন্ত্র
      লেখনীর ‘পরে।

 

   ১৬১

 

বসন্তের আসরে ঝড়
      যখন ছুটে আসে
মুকুলগুলি না পায় ডর,
      কচি পাতারা হাসে।
কেবল জানে জীর্ণ পাতা
      ঝড়ের পরিচয়—
ঝড় তো তারি মুক্তিদাতা,
      তারি বা কিসে ভয়।

 

   ১৬২

 

বসন্তের হাওয়া যবে অরণ্য মাতায়
      নৃত্য উঠে পাতায় পাতায়।
এই নৃত্যে সুন্দরকে অর্ঘ্য দেয় তার,
      ‘ধন্য তুমি’ বলে বার বার।

 

   ১৬৩

 

বস্তুতে রয় রূপের বাঁধন,
      ছন্দ সে রয় শক্তিতে,
          অর্থ সে রয় ব্যক্তিতে।

 

   ১৬৪

 

বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
      দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,