তর্ক

             নারীকে দিবেন বিধি পুরুষের অন্তরে মিলায়ে

                     সেই অভিপ্রায়ে

                 রচিলেন সূক্ষ্মশিল্পকারুময়ী কায়া —

             তারি সঙ্গে মিলালেন অঙ্গের অতীত কোন্‌ মায়া

                         যারে নাহি যায় ধরা,

                      যাহা শুধু জাদুমন্ত্রে ভরা,

             যাহারে অন্তরতম হৃদয়ের অদৃশ্য আলোকে

                 দেখা যায় ধ্যানাবিষ্ট চোখে,

                     ছন্দোজালে বাঁধে যার ছবি

                 না-পাওয়া বেদনা দিয়ে কবি।

                     যার ছায়া সুরে খেলা করে

                 চঞ্চল দিঘির জলে আলোর মতন থরথরে।

                     ‘ নিশ্চিত পেয়েছি ' ভেবে যারে

             অবুঝ আঁকড়ি রাখে আপন ভোগের অধিকারে,

                 মাটির পাত্রটা নিয়ে বঞ্চিত সে অমৃতের স্বাদে,

                     ডুবায় সে ক্লান্তি-অবসাদে

                          সোনার প্রদীপ শিখা-নেভা।

             দূর হতে অধরাকে পায় যে বা

                 চরিতার্থ করে সে ' ই কাছের পাওয়ারে,

                     পূর্ণ করে তারে।

 

             নারীস্তব শুনালেম। ছিল মনে আশা —

                 উচ্চতত্ত্বে-ভরা এই ভাষা

             উৎসাহিত করে দেবে মন ললিতার,

                     পাব পুরস্কার।

                 হায় রে, দুর্গ্রহগুণে

                         কাব্য শুনে

                 ঝক্‌ঝকে হাসিখানি হেসে

             কহিল সে, “ তোমার এ কবিত্বের শেষে

                 বসিয়েছ মহোন্নত যে-কটা লাইন