স্ফুলিঙ্গ
১৩৫
পাষাণে পাষাণে তব শিখরে শিখরে
লিখেছ, হে গিরিরাজ, অজানা অক্ষরে
কত যুগযুগান্তরের প্রভাতে সন্ধ্যায়
ধরিত্রীর ইতিবৃত্ত অনন্ত-অধ্যায়।
মহান সে গ্রন্থপত্র, তারি এক দিকে
কেবল একটি ছত্রে রাখিবে কি লিখে—
তব শৃঙ্গশিলাতলে দুদিনের খেলা,
আমাদের ক’জনের আনন্দের মেলা।
১৩৬
পুরানো কালের কলম লইয়া হাতে
লিখি নিজ নাম নূতন কালের পাতে।
নবীন লেখক তারি ‘পরে দিনরাতি
লেখে নানামত আপন নামের পাঁতি।
নূতনে পুরাণে মিলায়ে রেখার পাকে
কালের খাতায় সদা হিজিবিজি আঁকে।
১৩৭
পুষ্পের মুকুল
নিয়ে আসে অরণ্যের
আশ্বাস বিপুল।
১৩৮
পেয়েছি যে-সব ধন,
যার মূল্য আছে,
ফেলে যাই পাছে।
যার কোনো মূল্য নাই,