২৬

এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়

যে প্রাণ-তরঙ্গমালা রাত্রিদিন ধায়

সেই প্রাণ ছুটিয়াছে বিশ্বদিগ্‌বিজয়ে,

সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে তালে লয়ে

নাচিছে ভুবনে ; সেই প্রাণ চুপে চুপে

বসুধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে

লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরষে,

বিকাশে পল্লবে পুষ্পে — বরষে বরষে

বিশ্বব্যাপী জন্মমৃত্যুসমুদ্রদোলায়

দুলিতেছে অন্তহীন জোয়ার-ভাঁটায়।

করিতেছি অনুভব, সে অনন্ত প্রাণ

অঙ্গে অঙ্গে আমারে করেছে মহীয়ান।

 

সেই যুগযুগান্তের বিরাট স্পন্দন

আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন।