বাসা

ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে

         আমার পোষা হরিণে বাছুরে যেমন ভাব

             তেমনি ভাব শালবনে আর মহুয়ায়।

         ওদের পাতা ঝরছে গাছের তলায়,

             উড়ে পড়ছে আমার জানলাতে।

         তালগাছটা খাড়া দাঁড়িয়ে পুবের দিকে,

             সকালবেলাকার বাঁকা রোদ্‌দুর

তারি চোরাই ছায়া ফেলে আমার দেয়ালে।

      নদীর ধারে ধারে পায়ে-চলা পথ

             রাঙা মাটির উপর দিয়ে,

         কুড়চির ফুল ঝরে তার ধুলোয়;

      বাতাবি-লেবু-ফুলের গন্ধ

         ঘনিয়ে ধরে বাতাসকে;

      জারুল পলাশ মাদারে চলেছে রেষারেষি;

         শজনে ফুলের ঝুরি দুলছে হাওয়ায়;

      চামেলি লতিয়ে গেছে বেড়ার গায়ে গায়ে

             ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে।

 

      নদীতে নেমেছে ছোটো একটি ঘাট

             লাল পাথর বাঁধানো।

      তারি এক পাশে অনেক কালের চাঁপাগাছ,

             মোটা তার গুঁড়ি।

      নদীর উপরে বেঁধেছি একটি সাঁকো,

         তার দুই পাশে কাঁচের টবে

             জুঁই বেল রজনীগন্ধা শ্বেতকরবী।

                 গভীর জল মাঝে মাঝে,

             নীচে দেখা যায় নুড়িগুলি।

         সেইখানে ভাসে রাজহংস

             আর ঢালুতটে চরে বেড়ায়

আমার পাটল রঙের গাই গোরুটি

       আর মিশোল রঙের বাছুর