বিপাশা
মায়ামৃগী, নাই বা তুমি
          পড়লে প্রেমের ফাঁদে।
ফাগুন-রাতে চোরা মেঘে
          নাই হরিল চাঁদে।
বাঁধন-কাটা ভাব্‌না তোমার
          হাওয়ায় পাখা মেলে,
দেহমনে চঞ্চলতার
          নিত্য যে ঢেউ খেলে।

ঝর্না-ধারা মতো সদাই
          মুক্ত তোমার গতি,
নাই বা নিলে তটের শরণ
          তায় বা কিসের ক্ষতি।
শরৎপ্রাতের মেঘ যে তুমি
          শুভ্র আলোয় ধোওয়া,
একটুখানি অরুণ-আভার
          সোনার-হাসি-ছোঁওয়া।
শূন্য পথে মনোরথে
          ফেরো আকাশ-পার,
বুকের মাঝে নাই বহিলে
          অশ্রুজলের ভার।
এমনি করেই যাও খেলে যাও
          অকারণের খেলা,
ছুটির স্রোতে যাক-না ভেসে
          হালকা খুশির ভেলা।
পথে চাওয়ার ক্লান্তি কেন
          নামবে আঁখির পাতে,
কাছের সোহাগ ছাড়বে কেন
          দূরের দুরাশাতে।
তোমার পায়ের নূপুরখানি
          বাজাক নিত্যকাল