মৃত্যুর আহ্বান
জন্ম হয়েছিল তোর সকলের কোলে
        আনন্দকল্লোলে।
নীলাকাশ, আলো, ফুল, পাখি,
        জননীর আঁখি,
শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, শরতের শিশিরের কণা,
      প্রাণের প্রথম অভ্যর্থনা।
                 জন্ম সেই
           এক নিমেষেই
        অন্তহীন দান,
জন্ম সে যে গৃহমাঝে গৃহীরে আহ্বান।

 

    মৃত্যু তোর হোক দূরে নিশীথে নির্জনে,
হোক সেই পথে যেথা সমুদ্রের তরঙ্গগর্জনে
            গৃহহীন পথিকেরই
    নৃত্যছন্দে নিত্যকাল বাজিতেছে ভেরী;
অজানা অরণ্যে যেথা উঠিতেছে উদাস মর্মর,
             বিদেশের বিবাগী নির্ঝর
বিদায়-গানের তালে হাসিয়া বাজায় করতালি;
  যেথায় অপরিচিত নক্ষত্রের আরতির থালি
        চলিয়াছে অনন্তের মন্দির-সন্ধানে,
পিছু ফিরে চাহিবার কিছু যেথা নাই কোনোখানে।
দুয়ার রহিবে খোলা; ধরিত্রীর সমুদ্র-পর্বত
কেহ ডাকিবে না কাছে, সকলেই দেখাইবে পথ।
        শিয়রে নিশীথরাত্রি রহিবে নির্বাক,
             মৃত্যু সে যে পথিকের ডাক।