পদধ্বনি
আঁধারে প্রচ্ছন্ন ঘন বনে
আশঙ্কার পরশনে
হরিণের থরথর হৃৎপিণ্ড যেমন—
সেইমতো রাত্রি দ্বিপ্রহরে
শয্যা মোর ক্ষণতরে
সহসা কাঁপিল অকারণ।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি
শুনিনু তখনি।
মোর জন্মনক্ষত্রের অদৃশ্য জগতে
মোর ভাগ্য মোর তরে বার্তা লয়ে ফিরিছে কি পথে।
পদধ্বনি, কার পদধ্বনি।
অজানার যাত্রী কে গো। ভয়ে কেঁপে উঠিল ধরণী।
এই কি নির্মম সেই যে
আপন চরণের তলে
পদে পদে
চিরদিন
উদাসীন
পিছনের পথ
মুছে চলে।
এ কি সেই
নিত্যশিশু, কিছু নাহি চাহে—
নিজের খেলেনা চূর্ণ
ভাসাইছে অসম্পূর্ণ
খেলার
প্রবাহে?
ভাঙিয়া স্বপ্নের ঘোর,
ছিঁড়ি
মোর
শয্যায় বন্ধনমোহ, এ
রাত্রিবেলায়
মোরে কি করিবে সঙ্গী প্রলয়ের ভাসান-খেলায়।
হোক তাই—
ভয় নাই, ভয় নাই,
এ খেলা খেলেছি বারংবার