ছবি
ক্ষুব্ধ চিহ্ন এঁকে দিয়ে শান্ত সিন্ধুবুকে
                   তরী চলে পশ্চিমের মুখে।
                        আলোকচুম্বনে নীল জল
                               করে ঝলমল।
          দিগন্তে মেঘের জালে বিজড়িত দিনান্তের মোহ,
                   সূর্যাস্তের শেষ সমারোহ।
                             ঊর্ধ্বে যায় দেখা
                        তৃতীয়ার শীর্ণ শশিলেখা।
          যেন কে উলঙ্গ শিশু কোথায় এসেছে জানে না সে,
                             নিঃসংকোচে হাসে।
                        বহে মন্দ মন্থর বাতাস
                   সঙ্গশূন্য সায়াহ্নের বৈরাগ্যনিশ্বাস।
          স্বর্গসুখে ক্লান্ত কোন্‌ দেবতার বাঁশির পূরবী
                             শূন্যতলে ধরে এই ছবি।
                   ক্ষণকাল পরে যাবে ঘুচে,
          উদাসীন রজনীর কালো কেশে সব দেবে মুছে।

 

          এমনি রঙের খেলা নিত্য খেলে আলো আর ছায়া,
                             এমনি চঞ্চল মায়া
                             জীবন-অম্বরতলে—
                    দুঃখে সুখে বর্ণে বর্ণে লিখা
          চিহ্নহীনপদচারী কালের প্রান্তরে মরীচিকা।
                তার পরে দিন যায়, অস্তে যায় রবি;
          যুগে যুগে মুছে যায় লক্ষ লক্ষ রাগরক্ত ছবি।
                             তুই হেথা কবি,
                        এ বিশ্বের মৃত্যুর নিশ্বাস
          আপন বাঁশিতে ভরি গানে তারে বাঁচাইতে চাস।