আতঙ্ক

  বটের জটায় বাঁধা ছায়াতলে

                       গোধূলিবেলায়

           বাগানের জীর্ণ পাঁচিলেতে

                       সাদাকালো দাগগুলো

                       দেখা দিত ভয়ংকর মূর্তি ধরে।

           ওইখানে দৈত্যপুরী,

                 অদৃশ্য কুঠরি থেকে তার

      মনে-মনে শোনা যেত হাঁউমাউখাঁউ।

           লাঠি হাতে কুঁজোপিঠ

      খিলিখিলি হাসত ডাইনিবুড়ী।

                     কাশিরাম দাস

      পয়ারে যা লিখেছিল হিড়িম্বার কথা

           ইট-বের-করা সেই পাঁচিলের'পরে

                    ছিল তারি প্রত্যক্ষ কাহিনী।

      তারি সঙ্গে সেইখানে নাককাটা সূর্পণখা

                 কালো কালো দাগে

                       করেছিল কুটুম্বিতা।

 

      সতেরো বৎসর পরে

           গিয়েছি সে সাবেক বাড়িতে।

                 দাগ বেড়ে গেছে,

      মুগ্ধ নতুনের তুলি পুরোনোকে দিয়েছে প্রশ্রয়।

       ইঁটগুলো মাঝে-মাঝে খসে গিয়ে

                 পড়ে আছে রাশকরা।

           গায়ে গায়ে লেগেছে অনন্তমূল,

                 কালমেঘ লতা,

                 বিছুটির ঝাড় ;

           ভাঁটিগাছে হয়েছে জঙ্গল।

                 পুরোনো বটের পাশে

           উঠেছে ভেরেণ্ডাগাছ মস্তবড়ো হয়ে।