পাখির পালক

খেলাধুলো সব রহিল পড়িয়া,

            ছুটে চ’লে আসে মেয়ে—

বলে তাড়াতাড়ি, ‘ওমা, দেখ্‌ দেখ্‌,

            কী এনেছি দেখ্‌ চেয়ে।’

আঁখির পাতায় হাসি চমকায়,

            ঠোঁটে নেচে ওঠে হাসি—

হয়ে যায় ভুল, বাঁধে নাকো চুল,

            খুলে পড়ে কেশরাশি।

দুটি হাত তার ঘিরিয়া ঘিরিয়া

            রাঙা চুড়ি কয়গাছি,

করতালি পেয়ে বেজে ওঠে তারা;

            কেঁপে ওঠে তারা নাচি।

মায়ের গলায় বাহু দুটি বেঁধে

            কোলে এসে বসে মেয়ে।

বলে তাড়াতাড়ি, ‘ওমা, দেখ্‌ দেখ্‌,

             কী এনেছি দেখ্‌ চেয়ে।’

 

সোনালি রঙের পাখির পালক

            ধোওয়া সে সোনার স্রোতে—

খসে এল যেন তরুণ আলোক

            অরুণের পাখা হতে।

নয়ন-ঢুলানো কোমল পরশ

            ঘুমের পরশ যথা—

মাখা যেন তায় মেঘের কাহিনী,

            নীল আকাশের কথা।

ছোটোখাটো নীড়, শাবকের ভিড়,

            কতমত কলরব,

প্রভাতের সুখ, উড়িবার আশা—

           মনে পড়ে যেন সব।

লয়ে সে পালক কপোলে বুলায়,