বলাকা

          সময় যে নাই ;

     আবার শিশিররাত্রে তাই

    নিকুঞ্জে ফুটায়ে তোল নব কুন্দরাজি

সাজাইতে হেমন্তের অশ্রুভরা আনন্দের সাজি।

               হায় রে হৃদয়,

              তোমার সঞ্চয়

দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

     নাই নাই, নাই যে সময় ।

     হে সম্রাট, তাই তব শঙ্কিত হৃদয়

     চেয়েছিল করিবারে সময়ের হৃদয় হরণ

                             সৌন্দর্যে ভুলায়ে।

                          কণ্ঠে তার কী মালা দুলায়ে

                                    করিলে বরণ

রূপহীন মরণেরে মৃত্যুহীন অপরূপ সাজে।

                             রহে না যে

                            বিলাপের অবকাশ

                             বারো মাস,

               তাই তব অশান্ত ক্রন্দনে

চিরমৌনজাল দিয়ে বেঁধে দিলে কঠিন বন্ধনে।

              জ্যোৎস্নারাতে নিভৃত মন্দিরে

                             প্রেয়সীরে

              যে-নামে ডাকিতে ধীরে ধীরে

সেই কানে-কানে ডাকা রেখে গেলে এইখানে

                              অনন্তের কানে।

                      প্রেমের করুণ কোমলতা

                             ফুটিল তা

          সৌন্দর্যের পুষ্পপুঞ্জে প্রশান্ত পাষাণে।

                            হে সম্রাট কবি,

              এই তব হৃদয়ের ছবি,

                        এই তব নব মেঘদূত,

                             অপূর্ব অদ্ভুত

                                      ছন্দে গানে