ওরে   নবীন, ওরে আমার কাঁচা,

     ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,

         আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।

রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে

আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,

সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক’রে

     পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।

     আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।

 

খাঁচাখানা দুলছে মৃদু হাওয়ায় ;

     আর তো কিছুই নড়ে না রে

         ওদের ঘরে, ওদের ঘরের দাওয়ায়।

ওই যে প্রবীণ, ওই যে পরম পাকা,

চক্ষু - কর্ণ দুইটি ডানায় ঢাকা,

ঝিমায় যেন চিত্রপটে আঁকা

     অন্ধকারে বন্ধ করা খাঁচায়।

     আয় জীবন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।

 

বাহিরপানে তাকায় না যে কেউ,

     দেখে না যে বাণ ডেকেছে

         জোয়ার-জলে উঠছে প্রবল ঢেউ।

চলতে ওরা চায় না মাটির ছেলে

মাটির ’পরে চরণ ফেলে ফেলে,

আছে অচল আসনখানা মেলে

     যে যার আপন উচ্চ বাঁশের মাচায়,

     আয় অশান্ত, আয় রে আমার কাঁচা।

 

তোরে হেথায় করবে সবাই মানা।

     হঠাৎ আলো দেখবে যখন

         ভাববে এ কী বিষম কাণ্ডখানা।

সংঘাতে তোর উঠবে ওরা রেগে,