আশীর্বাদ
তরুণ আশীর্বাদপ্রাথীর প্রতি প্রাচীন কবির নিবেদন

শ্রীযুক্ত দিলীপকুমার রায়ের উদ্দেশে

নিম্নে সরোবর স্তব্ধ হিমাদ্রির উপত্যকাতলে।

ঊর্ধ্বে গিরিশৃঙ্গ হতে শ্রান্তিহীন সাধনার বলে

তরুণ নির্ঝর ধায় সিন্ধুসনে মিলনের লাগি

অরুণোদয়ের পথে। সে কহিল, ‘ আশীর্বাদ মাগি

হে প্রাচীন সরোবর। ' সরোবর কহিল হাসিয়া,

‘ আশিস তোমারি তরে নীলাম্বরে উঠে উদ্ভাসিয়া

প্রভাতসূর্যের করে ; ধ্যানমগ্ন গিরিতপস্বীর

বিগলিত করুণার প্রবাহিত আশীর্বাদনীর

তোমারে দিতেছে প্রাণধারা। আমি বনচ্ছায়া হতে,

নির্জনে একান্তে বসি, দেখি নির্বারিত স্রোতে

সংগীত-উদ্‌বেল নৃত্যে প্রতিক্ষণে করিতেছ জয়

মসীকৃষ্ণ বিঘ্নপুঞ্জ, পথরোধী পাষাণসঞ্চয়,

গূঢ় জড় শত্রুদল। এই তব যাত্রার প্রবাহ

আপনার গতিবেগে আপনার জাগায় উৎসাহ। '