লেখা

সব লেখা লুপ্ত হয়, বারংবার লিখিবার তরে

নূতন কালের বর্ণে। জীর্ণ তোর অক্ষরে অক্ষরে

কেন পট রেখেছিস পূর্ণ করি। হয়েছে সময়

নবীনের তুলিকারে পথ ছেড়ে দিতে। হোক লয়

সমাপ্তির রেখাদুর্গ। নব লেখা আসি দর্পভরে

তার ভগ্নস্তূপরাশি বিকীর্ণ করিয়া দূরান্তরে

উন্মুক্ত করুক পথ, স্থাবরের সীমা করি জয়,

নবীনের রথযাত্রা লাগি। অজ্ঞাতের পরিচয়

অনভিজ্ঞ নিক জিনে। কালের মন্দিরে পূজাঘরে

যুগবিজয়ার দিনে পূজার্চনা সাঙ্গ হলে পরে

যায় প্রতিমার দিন। ধুলা তারে ডাক দিয়ে কয় —

‘ ফিরে ফিরে মোর মাঝে ক্ষয়ে ক্ষয়ে হবি রে অক্ষয়,

তোর মাটি দিয়ে শিল্পী বিরচিবে নূতন প্রতিমা,

প্রকাশিবে অসীমের নব নব অন্তহীন সীমা। '