ছবি ও গান

নীরবে টুটিছে প্রাণ, চাহিছে তারার পানে

          অরণ্যে পশিয়া।

কেহ বা রয়েছে শুয়ে দগ্ধ হৃদয়ের'পরে

          স্মৃতিরে জড়ায়ে —

কেহ না দেখিছে তারে, অন্ধকারে অশ্রুধারা

          পড়িছে গড়ায়ে।

কেহ বা শুনিছে সাড়া, উর্ধ্বকণ্ঠে নাম ধরে

          ডাকিছে মরণে —

পশিয়া হৃদয়-মাঝে আশার অঙ্কুরগুলি

          দলিছে চরণে।

ও দিকে আকাশ- ' পরে মাঝে মাঝে থেকে থেকে

          উঠে অট্টহাস,

ঘন ঘন করতালি, উনমাদ কণ্ঠস্বরে

          কাঁপিছে আকাশ।

জ্বালিয়া মশাল-আলো নাচিছে গাইছে তারা,

          ক্ষণিক উল্লাস —

আঁধার মুহূর্ত-তরে হাসে যথা প্রাণপণে

          আলেয়ার হাস।

 

 

অরণ্যের প্রান্তভাগে নদী এক চলিয়াছে

          বাঁকিয়া বাঁকিয়া —

স্তব্ধ জল, শব্দ নাই, ফণী-সম ফুঁসি উঠে

          থাকিয়া থাকিয়া।

আঁধারে চলিতে পান্থ দেখিতে না পায় কিছু

          জলে গিয়া পড়ে,

মুহূর্তের হাহাকার মুহূর্তে ভাসিয়া যায়

          খরস্রোতভরে।

সখা তার তীরে বসি একেলা কাঁদিতে থাকে,

          ডাকে উর্ধ্বশ্বাসে —

কাহারো না পেয়ে সাড়া শূন্যপ্রাণ প্রতিধ্বনি