নিশীথজগৎ

জন্মেছি নিশীথে আমি, তারার আলোকে

          রয়েছি বসিয়া।

চারি দিকে নিশীথিনী মাঝে মাঝে হু হু করি

          উঠিছে শ্বসিয়া।

  পশ্চিমে করেছে মেঘ, নিবিড় মেঘের প্রান্তে

          স্ফুরিছে দামিনী,

দুঃস্বপ্ন ভাঙিয়া যেন শিহরি মেলিছে আঁখি

          চকিত যামিনী।

আঁধারে অরণ্যভূমি নয়ন মুদিয়া

          করিতেছে ধ্যান,

অসীম আঁধার নিশা আপনার পানে চেয়ে

          হারায়েছে জ্ঞান।

মাথার উপর দিয়া উড়িছে বাদুড়,

          কাঁদিছে পেচক —

একেলা রয়েছি বসি, চেয়ে শূন্যপানে

          না পড়ে পলক।

 

আঁধারের প্রাণী যত ভূমিতলে হাত দিয়া

          ঘুরিয়া বেড়ায় —

চোখে উড়ে পড়ে ধুলা, কোন্‌খানে কী যে আছে

          দেখিতে না পায়।

চরণে বাধিছে বাধা, পাষাণে বাজিছে মাথা,

          কাঁদিছে বসিয়া —

অগ্নিহাসি উপহাসি উল্কা অভিশাপশিখা

          পড়িছে খসিয়া।

তাদের মাথার'পরে সীমাহীন অন্ধকার

          স্তব্ধ গগনেতে,

আঁধারের ভারে যেন নুইয়া পড়িছে মাথা

          মাটির পানেতে।

নড়িলে গাছের পাতা চকিতে চমকি উঠে,