আশা

এ জীবনসূর্য যবে অস্তে গেল চলি,

হে বঙ্গজননী মোর, ‘আয় বৎস’ বলি

খুলি দিলে অন্ত:পুরে প্রবেশদুয়ার,

ললাটে চুম্বন দিলে; শিয়রে আমার

জ্বালিলে অনন্ত দীপ। ছিল কণ্ঠে মোর

একখানি কণ্টকিত কুসুমের ডোর

সংগীতের পুরস্কার, তারি ক্ষতজ্বালা

হৃদয়ে জ্বলিতেছিল— তুলি সেই মালা

প্রত্যেক কণ্টক তার নিজ হস্তে বাছি

ধূলি তার ধুয়ে ফেলি শুভ্র মাল্যগাছি

গলায় পরায়ে দিয়ে লইলে বরিয়া

মোরে তব চিরন্তন সন্তান করিয়া।

অশ্রুতে ভরিয়া উঠি খুলিল নয়ন;

সহসা জাগিয়া দেখি, এ শুধু স্বপন!