মানসী
     আম্রবনছায়ে
সুপ্ত হয়ে লুপ্ত হয়ে
     গুপ্ত গৃহবাসে।

 

বেহালাখানা বাঁকায়ে ধরি
     বাজাও ওকি সুর—
তবলা-বাঁয়া কোলেতে টেনে
     বাদ্যে ভরপুর!
কাগজ নেড়ে উচ্চস্বরে
পোলিটিকাল তর্ক করে,
জানলা দিয়ে পশিছে ঘরে
     বাতাস ঝুরুঝুর।

পানের বাটা, ফুলের মালা,
     তবলা-বাঁয়া দুটো,
দম্ভ-ভরা কাগজগুলো
     করিয়া দাও দূর।

 

কিসের এত অহংকার!
     দম্ভ নাহি সাজে—
বরং থাকো মৌন হয়ে
     সসংকোচ লাজে।
অত্যাচারে মত্ত-পারা
কভু কি হও আত্মহারা?
তপ্ত হয়ে রক্তধারা
     ফুটে কি দেহমাঝে?
অহর্নিশি হেলার হাসি
     তীব্র অপমান
মর্মতল বিদ্ধ করি
     বজ্রসম বাজে?

 

দাস্যসুখে হাস্যমুখ,