দর্পণ

দর্পণ লইয়া তারে কী প্রশ্ন শুধাও একমনে

হে সুন্দরী, কী সংশয় জাগে তব উদ্‌বিগ্ন নয়নে।

নিজেরে দেখিতে চাও বাহিরে রাখিয়া আপনারে

যেন আর কারো চোখে ; আর কারো জীবনের দ্বারে

খুঁজিছ আপন স্থান। প্রেমের অর্ঘ্যের কোনো ত্রুটি

দেখ কি মুখের কোনোখানে। তাই তব আঁখিদুটি

নিজেরে কি করিছে ভর্ৎসনা। সাজায়ে লইয়া সর্বদেহে

স্বর্গের গর্বের ধন, তবে যেতে চাও তার গেহে?

জান না কি হে রমণী, দর্পণে যা দেখিছ তা ছায়া,

পার না রচিতে কভু তাই দিয়ে চিরস্থায়ী মায়া।

তিলোত্তমা অনুপমা সুরেন্দ্রের প্রমোদপ্রাঙ্গণে

কঙ্কণঝংকারে আর নৃত্যলোল নূপুরনিক্বণে

নাচিয়া বাহিরে চলে যায়। লয়ে আত্মনিবেদন

গৌরবে জিনিলা শচী ইন্দ্রলোকে নন্দন-আসন।