মহুয়া

চঞ্চল চিন্তায় তার বুলায়েছে বর্ণ-আঁকা তুলি।

সরল তাহার হাসি, সুকুমার মুঠি

          যেন শুভ্র কমলকলিকা ;

              আঁখিদুটি

যেন কালো আলোকের সচকিত শিখা।

অবসাদবন্ধভাঙা মুক্তির সে ছবি,

          সে আনিয়া দেয় চিত্তে

             কলনৃত্যে

দুস্তর-প্রস্তর-ঠেলা ফেনোচ্ছল আনন্দজাহ্নবী।

বীণার তন্ত্রের মতো গতি তার সংগীতস্পন্দিনী —

              নাম কি নন্দিনী।

 

উষসী

ভোরের আগের যে প্রহরে

       স্তব্ধ অন্ধকার- ' পরে

সুপ্তি-অন্তরাল হতে দূর সূর্যোদয়

              বনময়

পাঠায় নূতন জাগরণী,

              অতি মৃদু শিহরণী

              বাতাসের গায়ে ;

          পাখির কুলায়ে

অস্পষ্ট কাকলি ওঠে আধোজাগা স্বরে,

              স্তম্ভিত আগ্রহভরে

অব্যক্ত বিরাট আশা ধ্যানে মগ্ন দিকে দিগন্তরে —

ও কোন্‌ তরুণ প্রাণে করিয়াছে ভর,

              অন্তর্গূঢ় সে প্রহর

              আত্ম-অগোচর।

          চিত্ত তার আপনার গভীর অন্তরে

              নিঃশব্দে প্রতীক্ষা করে

              পরিপূর্ণ সার্থকতা লাগি।

          সুপ্তি-মাঝে প্রতীক্ষিয়া আছে জাগি