মহুয়া

          অপূর্ণের ঈষৎ আভাসে

আপন বলিতে তারে মর্তভূমি শঙ্কা নাহি বাসে।

          এ ধরার নির্বাসনে

কুণ্ঠার গুণ্ঠন নাই, ভীরুতা নাইকো তার মনে,

          সংসারজনতা-মাঝে

        আপনাতে আপনি বিরাজে।

দুঃখে শোকে অবিচল, ধৈর্য তার প্রফুল্লতা-ভরা,

          সকল উদ্‌বেগভারহরা।

        রোগ যদি আসে রুখে

সকরুণ শান্ত হাসি লেগে থাকে গ্লানিহীন মুখে।

     দুর্যোগ মেঘের মতো

     নীচে দিয়ে বহে যায় কত

              বারে বারে,

     প্রভা তার মুছিতে না পারে।

     তবু তার মহিমায় কিছু আছে বাকি,

        সেইখানে রাখে ঢাকি

               অশ্রুজল

     বিষাদ-ইঙ্গিতে-ছোঁওয়া ঈষৎ বিহ্বল।

        কণামাত্র সে-ক্ষীণতা

          নাহি কহে কথা,

     কেহ না দেখিতে পায়

          নিত্য যারা ফিরে আছে তায়।

অমরার অসীমতা মাটিতে নিয়েছে সীমা —

          নাম কি প্রতিমা।

 

নন্দিনী

প্রথম সৃষ্টির ছন্দখানি

অঙ্গে তার নক্ষত্রের নৃত্য দিল আনি।

          বর্ষা-অন্তে ইন্দ্রধনু

          মর্তে নিল তনু।

দিগ্‌বধূর মায়াবী অঙ্গুলি