মহুয়া

          সে যেন অশোকবনে-সীতা,

চারি দিকে যারা আছে কেহ তার নহেক স্বকীয় ;

     কে তারে পাঠাবে অঙ্গুরীয়

     বিচ্ছেদের অতল সমুদ্র-পারে।

     আঁখি তুলে তাই বারে বারে

চেয়ে দেখে নিরুত্তর নিঃশব্দ গগনে।

          কোন্‌ দেব নিত্যনির্বাসনে

              পাঠাল তাহারে!

          স্বর্গের বীণার তারে

          সংগীতে কি করেছিল ভুল।

              মহেন্দ্রের-দেওয়া ফুল

নৃত্যকালে খসে গেলে অন্যমনে দলেছিল কভু?

              আজও তবু

মন্দারের গন্ধ যেন আছে তার বিষাদে জড়ানো,

     অধরে রয়েছে তার ম্লান —

          সন্ধ্যার গোলাপ-সম —

মাঝখানে-ভেঙে-যাওয়া অমরার গীতি অনুপম।

              অদৃশ্য যে অশ্রুধারা

     আবিষ্ট করেছে তার চক্ষুতারা,

তাহা দিব্য বেদনার করুণানির্ঝরী —

              নাম কি ঝামরী।

 

মুরতি

যে শক্তির নিত্যলীলা নানা বর্ণে আঁকা,

     যে গুণী প্রজাপতির পাখা

          যুগ যুগ ধ্যান করি একদা কী খনে

     রচিল অপূর্ব চিত্রে বিচিত্র লিখনে —

                   এই নারী

          রচনা তাহারি।

এ শুধু কালের খেলা

          এর দেহ কী আলস্যে বিধাতা একেলা